সোমবার, ০৩ মার্চ, ২০২৫
04 Mar 2025 03:25 am
![]() |
মোঃ মোরশেদুল ইসলাম রবি বগুড়াঃবগুড়ায় নারী হাজতখানায় ধর্ষণ মামলার আলোচিত আসামি সাবেক যুব-শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকারকে রাখার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বগুড়ার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নারী হাজতখানায় পুলিশের সহযোগিতায় শহর শ্রমিক লীগের এই নেতাকে রাখা হয়। আদালতের দোতলায় এক হাজতখানায় সোমবার (০৩ মার্চ) দুপুরে এই ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে তুফান সরকারের স্ত্রী আইরিন আক্তার (২০), শাশুড়ি তাসলিমা আাক্তার (৪৫), শ্যালক নয়ন আকন্দ ওরফে আশিক (২৫), স্ত্রীর বড় বোন আশা (২৩) ও আইনজীবী সহকারী হারুনার রশিদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেইসাথে পুলিশ সুপারে নির্দেশে নারী হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা এটিএসআই জয়নাল আবেদীন পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান। এই কমিটিকে সাত কর্ম দিবসের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে তাদের তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করার কথা বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, বিদ্যুৎ আদালতের একটি মামলায় সোমবার (০৩ মার্চ) হাজিরা দিতে আদালতে নেওয়া হয় অন্য মামলায় কারাগারে থাকা তুফান সরকারকে। হাজিরা শেষে তাকে আদালতের নারী হাজতখানায় রেখে দেওয়া হয়। ওই সময় নারী হাজতখানায় তুফান সরকারের স্ত্রী আইরিন আক্তার, তার শাশুড়ি তাসলিমা খাতুন, শ্যালক নয়ন আকন্দ ওরফে আশিক, তুফানের স্ত্রীর বড় বোন আশা ও আইনজীবী সহকারী হারুনার রশিদ ছিলেন। তারা ভিতরে থাকা অবস্থায় বিষয়টি জানাজানি হলে আদালত চত্বর সরব হয়ে ওঠে। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) হোসাইন মুহাম্মদ রায়হান জানান, আদালতের নারী হাজতখানায় নারীদের সঙ্গে একটি মামলার আসামি তুফানকে রাখা হয়েছিল। এখানে আইনত অপরাধ হয়েছে। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার জন্য নারী হাজতের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা এটিএসআই জয়নাল আবেদীনকে পুলিশ লাইন্সে কো¬জড করা হয়েছে। সেইসাথে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সাথে ওই সময় নারী হাজতখানায় তুফান সরকারের স্ত্রী আইরিন আক্তার, তার শাশুড়ি তাসলিমা খাতুন, শ্যালক নয়ন আকন্দ ওরফে আশিক, তুফানের স্ত্রীর বড় বোন আশা ও আদালতের আইনজীবী সহকারী হারুনার রশিদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।